ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

প্রশাসনের কঠোরতার মধ্যেও ঘরে থাকছে না মাানুষ, চলছে যানবাহন

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতার পরও ‘কঠোর লকডাউনে’ মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। নানা অজুহাতে লোকজন চলাফেরা করছেন। হাকডাক দিয়ে চালকরা যাত্রী পরিবহন করছেন। হকারের মত পসরা সাজিয়ে মার্কেটের সামনে বসেছেন দোকানদাররা।

শনিবার রাতে জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়ায় সিদ্ধান্ত হয় লকডাউনের তৃতীয়দিন থেকে কক্সবাজারে আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত হবে। লোকজনের চলাফেরা ও যান চলাচলে কঠোর হবে প্রশাসন। এমনকি সেখান থেকে আটকের সিদ্ধান্তও হয়। আর সেই কঠোরতা নিশ্চিত করতে রাতভর জেলা জুড়ে মাইকিং করে প্রশাসন ।
কিন্তু রোববার ভোর থেকে কক্সবাজার শহরে দেখা মিলল উল্টো চিত্র। রবিবার সকাল ১১ টা। শহরের বাজারঘাটার পৌরসভা মার্কেটের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আছে ২০/২৫ টি সিএনজি। চালকরা গন্তব্যস্থানের নাম ধরে হাকডাক দিচ্ছে। এরই পাশের এবিসি রোড়ে বার্মিজ আচার, লুঙ্গি জুতার দোকানের অল্প অংশ খুলে চলছে বিকিকিনি। ওই রোড়ের পাশের মসজিদ রোড়ে খোলা রয়েছে কসমেটিকস ও ষ্টেশনারী দোকান। একটু এগোতেই প্রধান সড়কের আশেপাশের দোকান বন্ধ থাকলেও লোকজনের আনাগোনা ছিল লকডাউনের প্রথম দুদিনের চেয়ে অনেক বেশি। রিকশা, টমটম সিএনজির দখলে ছিল প্রধান সড়ক। মাঝেমধ্যে মোটর সাইকেল, কার মাইক্রোরও দেখা মিলেছে।
বাজারঘাটা থেকে প্রধান সড়ক ধরে পশ্চিমে অল্প এগোতেই ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্পের সামনে দেখা মিললো ভ্রাম্যমান আদালতের গাড়ির। অথচ তার নাগালের মধ্যে যাত্রীর জন্য হাকডাক দিচ্ছে রিকশা, টমটম ও সিএনজি চালকরা। আরেকটু এগোতেই ১০/১২ জন হকারকে ঘিরে শহরের লালদিঘীর পাড়ের বিলকিস মার্কেটের সামনে দেখা মিললো লোকজনের জটলা। এখানে ডেকেডেকে বিক্রি হচ্ছে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ।

এছাড়া শহরের টেকপাড়া, বাহারছড়ার অভ্যন্তরিন সড়ক, ঝাউতলা, গাড়ির , নুনিয়ারছড়া ও পেশকার পাড়া, কালুর দোকান, রুমালিয়াছড়ার ছোট বড় অধিকাংশ দোকানই খোল ছিল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম ) আবু সুফিয়ান বলেন, লকডাউনের প্রথম দুদিনে জেলায় দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। ওই সব মামলায় লাখের উপর জরিমানা আদায় হয়েছে। অন্যদিনের চেয়ে প্রশাসন আজ আরো কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা অনেকগুলো গাড়ি আটক করে রেখেছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, শুধু আইনের প্রয়োগ করে তো লকডাউন শতভাগ সফল করা সম্ভব নয়। এর জন্য জনগনের সদিচ্চাও সচেতনতা দরকার। তিনি আরো বলেন, এটি সত্যি একশ্রেনীর মানুষ করোনার ভয়াবহতা না বুঝে লকডাউন নিয়ে প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলছে।

পাঠকের মতামত: